ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় পৌর শহরে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই অবাধে গবাদিপশু জবাই, নেই নির্দিষ্ট পশু জবাইখানা

এম. নুরুদ্দোজা, চকরিয়া ::
কোন ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই যতেতত্রে কক্সবাজারের চকরিয়ায় হচ্ছে গবাদিপশু জবাই। যেন দেখার কেউ নেই? এতে রোগ্নসহ নানা রোগের জর্জরিত গবাদিপশু জবাই করে সেই গোশত (মাংস) বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এই গোশত সাধারণ মানুষের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থেকে যায়।

চকরিয়া পৌরশহর জুড়ে একটি কসাইখানা নেই। তদারকির অভাবে একটি কসাইখানা নির্মাণের প্রস্তুতিও নেই। সম্প্রতি ভোরে পৌরশহরে কসাইপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একের পর এক পশু জবাই করা হচ্ছে।

একইভাবে খুটাখালী, ডুলহাজারা, ফাঁসিয়াখালী, চিরিংগা, লক্ষ্যারচর, কাকারা, বরইতলী, হারবাং, কৈয়ারবিল বমুবিলছড়ি, সুরাজপুর-মানিকপুর, ঢেমুশিয়া, বদরখালী, কোনাখালী, সাহারবিল, বিএম চর, পশ্চিম বড় ভেওলা, পূর্ব বড় ভেওলা পশু জবাই করা হচ্ছে। তবে এসময় সংশ্লিষ্ট পশু চিকিৎসক স্যানেটারী ইনসপেক্টর কিংবা পৌর কর্তৃপক্ষের কেউ নেই।

জানা যায়, পৌর শহরে বার জন কসাই গরু জবাই করে গোশত বিক্রি করে। পাঁচজন ছাগল জবাই করে গোশত বিক্রি করে আসছেন। সেই হিসেবে চকরিয়া উপজেলা গড়ে প্রতিদিন ২০-২৫ গরু এবং ৮-১০টি ছাগল জবাই করে গোশত বিক্রি করা হয়। এই বিষয়ে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহবাজ বলেন, রোগাক্রান্ত পশুর গোশত মানুষের খাদ্য বিষক্রিয়া ঘটে, এতে ডায়রিয়া, পেট ফেপে যাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুতর রোগ সংক্রামক রোগ হওয়ার আশংকা থাকে।

তাই এধরনের পশুর গোশত খাওয়া একেবারে নিষেধ। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে জানা যায়, যত্রতত্রে ও সনদ ছাড়াই পশু জবাই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধ বন্ধে পশু জবাই ও মাংশের মান নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১১ নামের নতুন আইন করা হয়। কেউ এই আইন অমান্য করলে তিনি অনুর্ধ্ব এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড বা ন্যুনতম ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন। অথচ এই আইন বাস্তবায়নে চকরিয়া উপজেলা ও পৌর কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই। এই বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কসাইরা তাদের ইচ্ছেমত পশু জবাই করে চলছেন।

পাঠকের মতামত: